প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ : দুই আসামি রিমান্ডে
কুষ্টিয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলার আসামি সোহাগ ও শাকিলকে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।
এদিকে মামলার অপর আসামি বাড়ির মালিক মাছুম আলী ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শওকত কবির জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সংঘবদ্ধ এ ধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রবিউল ইসলাম সোহাগ ও শাকিল আহমেদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সন্তানকে কোচিংয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী। এ সময় আগে থেকে পরিচিত এক নারী তাঁকে গল্প করার কথা বলে শহরের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই নারীর মুঠোফোনে ফোন এলে তিনি বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যান। এ সময় পাশের কক্ষে অবস্থান করা দুই যুবক ওই গৃহবধূ ও তাঁর চার বছরের শিশুপুত্রকে মারধর করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে দেড় লাখ টাকাও দাবি করেন। ভিডিওটি ওই গৃহবধূর আত্মীয়স্বজনের মুঠোফোনে মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন যুবকরা। গৃহবধূ তাদের হাত-পা ধরে বারবার মাফ চান। টাকা দেওয়ার শর্তে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে ওই গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর স্বজনদের জানান। এ সময় ওই গৃহবধূর মুঠোফোনে ফোন করে ওই যুবকেরা ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। গৃহবধূর এ কথোপকথন নিজের মুঠোফোনে রেকর্ড করে রাখেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি জানান তিনি। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই যুবকদের অবস্থান নিশ্চিত করে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঈদগাহ পাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেন। গত শুক্রবার দুপুরে একই অভিযোগে ওই বাড়ির মালিক মাছুম আলীকে আটক করা হয়। এ ধর্ষণের ঘটনায় ওই গৃহবধূ কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।