প্রধানমন্ত্রী সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দিনরাত কাজ করছেন : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিবিড়ভাবে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন এবং সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ তথ্য জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা বিশ্ব এখন প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত। মানবসভ্যতা সংকটের মুখোমুখি। প্রতিদিন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। পরম করুণাময়ের অসীম কৃপায় বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছেন। আমাদের দেশে বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র থেকেও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চীন বাংলাদেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসামগ্রী বিশেষ বিমানযোগে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চীন থেকে আরো চিকিৎসাসামগ্রী বাংলাদেশে পৌঁছাবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের চিকিৎসক-নার্স ও জনগণ সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছে। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। ধৈর্য, দায়িত্বশীলতা ও দেশপ্রেম নিয়ে একযোগে আপনাদের সবাইকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। ঘরে ঘরে সচেতনতা ও সতর্কতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ গৃহবন্দি রয়েছে। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ধনী-গরিব, উন্নত-উন্নয়নশীল সব জাতিরাষ্ট্র পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য একে অপরের সাহায্য-সহযোগিতা গ্রহণ করছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে অনেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ-পরবর্তী অর্থনৈতিক বৈশ্বিক মহামন্দার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
সংকটকালীন এ মুহূর্তে সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের প্রতি চারপাশে খেটে খাওয়া দিনমজুর-অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এসব দরিদ্র জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করেছেন এবং তাঁদের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী, বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জনগণের প্রতি আহ্বান রাখছি, আপনারা কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। সঠিক তথ্যের জন্য প্রচলিত গণমাধ্যম তথা টেলিভিশন-রেডিও-সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনে সরকার নির্দেশিত হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন। মতলববাজ, গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে অবহিত করুন। এ ধরনের গুজব শুধু আমাদের সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে।’