প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মশা নিধনে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে : এলজিআরডি মন্ত্রী
সম্ভাব্য ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে মশক নিধন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ-সংক্রান্ত এক আন্তঃসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুই সিটি করপোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একযোগে মশা নিধন অভিযান শুরু করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারি ভবন, লেক, পার্ক ও খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা কর্তৃপক্ষ কিন্তু মশা মারার কাজ করবে সিটি করপোরেশন।
দীর্ঘ ছুটির সময় বন্ধ থাকা সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো থেকে এডিস মশার উৎপত্তি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদুল্লাহ খন্দকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লেকগুলো পরিষ্কার করে দিলে আমরা ওষুধ ছিটাব। তাহলে মশা মরবে। এটাই সময় একসঙ্গে কাজ করার। আমি ১৫ মে দায়িত্ব পাব, কিন্তু এখন থেকেই কাজ করে যাচ্ছি।’
সভায় কৃষি সচিব জানান, তিনটি প্রতিষ্ঠান কীটনাশক আমদানি করে। তাদের কাছ থেকে যেকেউ কীটনাশক কিনতে পারে। তা ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকেও সরাসরি কীটনাশক আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সভায় বলা হয়, মশার উৎপত্তিস্থল যেমন, শহরের সব খাল, নালা, দুটি বাড়ি বা স্থাপনার মধ্যবর্তীস্থলের অপরিচ্ছন্ন স্থান, কাঁচা বাজার, সরকারি অফিস, সরকারি-আবাসিক স্থাপনা জরুরি ভিত্তিতে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। এডিস মশার বিস্তাররোধে অফিস ছুটিকালীন সব সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের টয়লেটের কমোড অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বন্ধ রাখতে হবে।