প্রতিবন্ধী তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি গ্রহণ
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সদর হাসপাতালে এই পরীক্ষা শেষে আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. পূর্ণ জীবন চাকমা ওই তরুণীর সুস্থতা ও ডাক্তারি পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি আমলী আদালতের বিচারক মোর্শেদ আলমের আদালতে ভিকটিমকে হাজির করে পুলিশ। আদালত ২২ ধারায় তরুণীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেন। পুলিশ পাহাড়ায় তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে জেলা শহরের গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি বাড়িতে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দরজা ভেঙে ডাকাতরা বাড়িতে প্রবেশ করে সবার হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং বাড়িতে লুটপাট শুরু করে। ডাকাতরা একটি কক্ষে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই তরুণীর (২৬) হাত, পা ও মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি থানায় ডাকাতি এবং নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন তরুণীর মা।
এদিকে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি ও গণধর্ষণের খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার প্রতিবাদে হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ বিভিন্ন নারী সংগঠন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ মামলার সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘মামলার অপর দুই আসামিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে করে বিস্তারিত জানানো হবে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’