পোশাককর্মীদের গুলি করে-পিটিয়ে অর্থ লুট, কথিত যুবলীগ কর্মী আটক
ঢাকার আশুলিয়ায় পোশাককর্মীদের গুলি করে এবং পিটিয়ে অর্থ ও মোবাইল ফোন লুটের অভিযোগে আশুলিয়া থানা যুবলীগের কথিত কর্মী সোহাগ মুন্সীকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় বাড়ি থেকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাঁকে আটক করা হয়। আটক সোহাগ মুন্সী দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের ভাষ্যমতে, গত রোববার রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট আড়িয়ারার মোড় এলাকায় স্থানীয় নার্গিস সোয়েটারের কর্মী নূর আলমকে গুলি করে এবং আরো পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করে তাঁদের সঙ্গে থাকা অর্থ ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায় ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রিপন, টিপু ও শামিম।
আহতরা গতকাল রাতে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দেন, আশুলিয়ার কথিত যুবলীগ কর্মী সোহাগ মুন্সীর নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁদের গুলি করে ও পিটিয়ে আহত করেছে। এরপর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সোহাগ মুন্সীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। পরে গতকাল রাতেই আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় বাড়ি থেকে সোহাগ মুন্সীকে আটক করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, বর্তমানে কথিত যুবলীগ কর্মী সোহাগ মুন্সী আশুলিয়া থানা হেফাজতে রয়েছেন। আজ সকালে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।
এলাকাবাসী জানায়, আটক সোহাগ মুন্সীর নামে চাঁদাবাজি ও ধর্ষণসহ নানা অভিযোগে আশুলিয়া থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। নানা অপকর্মে জড়িত থাকলেও যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান সোহাগ। তাঁকে আটক করায় সন্তোষ প্রকাশ করে কঠোর শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী।