পেঁয়াজ নিয়ে সরকার কিছুটা উদ্বিগ্ন : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা জমি থেকে গাছসহ পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। এগুলো এখনো ছোট ছোট। আরো বড় হওয়া দরকার এসব পেঁয়াজ। এসব কারণে আমরা পেঁয়াজ নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন।’
কৃষিমন্ত্রী আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর সেচ ভবনে কৃষকদের বাজারজাত করা সবজির হাট ‘কৃষকের বাজার’-এর উদ্বোধন করে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যখন দেশে পেঁয়াজ তোলা হয়, তখন বিদেশি পেঁয়াজ আমদানির কারণে কৃষকরা তাঁদের পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারেন না। তাই আমরা পেঁয়াজের মৌসুমে বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার কথা ভাবছি।’
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কৃষি উন্নয়নে গবেষণায় সাফল্যের ফলে দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্ত। আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য সামনে রেখে নিরাপদ সবজির জন্য কৃষকের বাজার এর আয়োজন। গত এক বছর এসব কৃষকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তাদের উৎপাদিত পণ্য এই হাটে ভোক্তাদের জন্য আনা হয়েছে। এই বাজারে বিক্রির জন্য যেসব সবজি আনা হয়েছে, এতে কোনো ধরনের সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য সচেতনতার বেশি প্রয়োজন। কৃষির উন্নয়নের ওপর নির্ভর করে শিল্পের উন্নয়ন। কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজতের শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানসহ এই শিল্পটি প্রসারিত হবে। এ বছর এই হাটে ভোক্তাদের যে সাড়া পড়েছে, আগামীতে আরো বড় পরিসরে এই হাটের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলার দুটি করে গ্রামকে নিরাপদ সবজির গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং প্রতিটি জেলার বাজারে একটি করে নিরাপদ সবজি কর্নার থাকবে, যেখানে চাষি নিরাপদ সবজি বিক্রি করবে। এতে করে কৃষক তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব বলেন, পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়া কৃষকের অধিকার। সরকার কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিএডিসি ৮০ হাজার কন্ট্রাক্ট ফার্মারের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আধুনিক কৃষির পথচলার শুরু।