পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বিএনপির বিক্ষোভ
পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী সোমবার সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি। এ ছাড়া আগামী ২৮ নভেম্বর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গণশুনানিতে অংশ নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
আজ শনিবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে একথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর যে গণশুনানির হবে তাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে। সেখানে তাঁরা এ বিষয়ে দলের যে বক্তব্য তা তুলে ধরবেন।’
‘আজকে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটরা দায়ী এবং এদের পেছনে সরকারের মদদপুষ্টরা জড়িত। পেঁয়াজ ছাড়াও দেশে ব্যাপকহারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রবমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
পদ্মা সেতুর মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়ে প্রকল্পে অর্থ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ‘মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি’ ছাড়া কিছুই নয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘পুরো প্রকল্পের ব্যয় এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। মেগা প্রজেক্টের সঙ্গে মেগা দুর্নীতি এবং নতুন করে যোগ হয়েছে মেগা পাচার। মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে এসব টাকাগুলো পাচার করা হচ্ছে।’
স্থায়ী কমিটির সভায় বিএনপির চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হয় জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী প্রায় পঙ্গুত্ব অবস্থায় চলে এসেছে বলে মেডিকেল বোর্ড বলছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা গোপন করে বিএসএমএমইউ পরিচালক গর্হিত কাজ করেছেন। আগামীকাল দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করা হচ্ছে। আদালত তাঁর স্বাস্থ্যগত কারণে অন্তত খালেদা জিয়াকে জামিন দিবেন, আদালতের কাছে আমরা সুবিচার আশা করি।’
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, রোহিঙ্গা নিধন ও নির্যাতনের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মামলা হলেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়ে সরকারের অনীহা দেখছে বিএনপি। আমরা অবিলম্বে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।