পাল্লাতল চা বাগানের ঘটনায় হত্যা ও অপমৃত্যুর মামলা
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল চা বাগানে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় বড়লেখা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিনুল হক জানান, স্ত্রী জলি বুনার্জি, শাশুড়ি লক্ষ্মী বুনার্জি, প্রতিবেশী বসন্ত ভক্তা ও তাঁর মেয়ে শিউলি ভক্তাকে হত্যার ঘটনায় পাল্লাতল চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অন্যদিকে এই চারজনকে হত্যার পর নির্মল কর্মকার আত্মহত্যা করায় এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
ওসি জানান, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা পাঁচজনের লাশ আজ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবাবের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, পাল্লাতল চা বাগানের টিলায় পাশাপাশি দুটি ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতেন চা শ্রমিক নির্মল ও প্রতিবেশী বসন্ত। রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নির্মল ও তাঁর স্ত্রী জলি বুনার্জির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে জলিকে মারধর করতে থাকলে জলি দৌড়ে প্রতিবেশী বসন্তের ঘরের সামনে গিয়ে চিৎকার করেন। এ এময় নির্মল ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ি লক্ষ্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। চিৎকার শুনে বসন্ত ঘর থেকে বের হয়ে ঝগড়া থামাতে চাইলে তাঁকে ও তাঁর মেয়ে শিউলিকেও কোপাতে থাকেন নির্মল। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় বসন্তের স্ত্রী গুরুতর আহত হন। এরপর বসন্তের ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন নির্মল।