পাবনায় হাতুড়িপেটায় আহত সেই যুবকের মৃত্যু
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত যুবক মানিক হোসেন (৩৫) আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মানিক সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানাধীন ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের তেবাড়ীয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেবাড়িয়া বাজারে মমিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মানিককে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
খবর পেয়ে মানিকের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাজশাহীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আইসিইউতে আট দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মানিক মারা যান।
ঘটনার দিন মানিকের ভাই আ. মালেক বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ এ পর্যন্ত ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বরইবাড়িয়া গ্রামের মমিন বিশ্বাস ও বাসেদ খাঁ নামের দুজনকে আটক করেছে।
বছর দেড়েক আগে একই বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে তেবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল গফুরসহ দুজনকে হত্যা করা হয়।
তেবাড়িয়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও দখলকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটে আসছে।
আতাইকুলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল ইসলাম মানিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।