পাবনায় ফসলি জমিতে জোর করে রাস্তা তৈরির অভিযোগ
পাবনার আটঘরিয়ার বেরুয়ান গ্রামে ফসলি জমির মাঝখান দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দেওয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে জমির মালিক তায়জুদ্দিনকে। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে পুলিশ অজ্ঞাত কারণে মামলা নিতে নানা তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ বাদী তায়জুদ্দিনের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের তায়জুদ্দিন এক একর ১৮ শতাংশ ফসলি জমি কিনে নেন। সম্প্রতি লিচু বাগান করার জন্য জমির চারিদিকে তার দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ করছিলেন। এ সময় ওই গ্রামের পিন্টু, রুহুল হোসেন ও মতিয়ার জমির উপর দিয়ে রাস্তা দেওয়ার জন্য হুমকি দেন। কিন্তু জমির মালিক তায়জুদ্দিন তার ফসলি জমির উপর দিয়ে রাস্তা দিতে রাজি না হলে এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তায়জুদ্দিনকে তাঁরা মাথায় আঘাত করেন। পরে সেখানে কাজ করা শ্রমিকরা তাঁকে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আরো অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য এসআই মিজানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। আমি এ বিষয়ে উভয়কে নিয়ে সুরাহা করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তবে জমির মালিক তায়জুদ্দিন বলেন, ‘এসআই মিজান পরিদর্শনে এসে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ চান। আমি অভিযোগের একটি ফটোকপি তাঁর কাছ থেকে চাইলে তিনি এ নিয়ে তালবাহানা করছেন।’
ওসি মিজান অপর পক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তায়জুদ্দিন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি জমিতে গেলে আমাকে মারার জন্য তাঁরা দলবল নিয়ে আসেন। আমাকে জমি থেকে তাড়িয়ে দেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম কামালের ছত্রছায়া তাঁরা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা আমার জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুবিচারের জন্য আমি পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম পিন্টু তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তায়জুদ্দিনের জমির উপর দিয়ে এখন যে রাস্তা আছে এখানে আগে থেকেই পায়ে হাঁটার রাস্তা ছিল। তায়জুদ্দিন জমিটা কেনার পর সেখান দিয়ে জনসাধারণ যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন। তাই তাঁকে আমরা অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম যেন পথটা বন্ধ না করে। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। তাঁকে আঘাত করা বা হত্যার হুমকি দেওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’