পাবনায় করোনায় একজন, উপসর্গে আ.লীগ নেতাসহ দুজনের মৃত্যু
পাবনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি এবং উপসর্গ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ও সদর উপজেলার আতাইকুলা এলাকায় মৃত্যু হয় তাঁদের।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন পাবনা সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের অফিস সহকারী লিয়াকত আলী (৫৯)। এ ছাড়া করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া দুজন হলেন সদরের আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঈসমাইল হোসেন (৬০) ও শহরের শালগাড়ীয়া এলাকার আলতাফ হোসেন (৬২)।
সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তালেবুর রহমান জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন স্কুলটির অফিস সহকারী লিয়াকত আলী। আজ বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ সকালে মারা যান আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঈসমাইল হোসেন। ইউনিয়নের জোয়ারদহ গ্রামে নিজ বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স।
এ ছাড়া, রামেক হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আলতাফ হোসেন নামের আরো এক ব্যক্তির। আজ ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। আলতাফ হোসেন শালগাড়ীয়া এলাকার মৃত মনজুর হোসেনের ছেলে।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আলতাফের। করোনা পরীক্ষার জন্য আলতাফ হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নমুনা পরীক্ষার পরই বলা যাবে। তবে মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, পাবনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় নতুন করে আরো ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩৯৩ জনের করোনা শনাক্ত করা হলো। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ঢাকা ও রাজশাহীর ল্যাবে পাঠানো আরো প্রায় দুই হাজারের বেশি সন্দেহভাজন করোনা রোগীর নমুনার ফলাফল অপেক্ষমান রয়েছে।
এদিকে করোনার রেডজোন ও হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হলেও জেলার সদর ও সুজানগর উপজেলা লকডাউনের বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি প্রশাসন।