পাবনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পাবনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের বাড়ি জেলার সুজানগর ও অপরজনের বাড়ি চাটমোহর উপজেলায়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁঁরা মারা যান।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল হোসেন জানান, সুজানগর উপজেলা থেকে সোম প্রামাণিক (৬৫) নামের এক ব্যক্তি গত ১ জুন সর্দি, জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁকে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। এরপর নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছেনি। মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
এদিকে চাটমোহর উপজেলায় আটলঙ্কা নতুনপাড়ার নজরুল ইসলাম (৬৫) নামে এক ব্যক্তি শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, ওই ব্যক্তি হাপানী রোগী ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্র দাবি করেছে। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্য হয়েছে।
এ দিকে, মঙ্গলবার রাতে প্রাপ্ত রিপোর্টে পাবনায় এ যাবত কালের সর্বোচ্চ ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী মেডিকেলের ল্যাব থেকে পাবনা থেকে পাঠানো ৬৬টি নমুনার ফলাফল আসে। তাদের মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট আসে ১৩ জনের। এর মধ্যে পাবনা সদরের ১০ জন এবং সুজানগরের তিনজন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পাবনা শহরের আব্দুল গণি সড়কের একজন ব্যবসায়ী ও দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের নিয়ে পাবনায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯।