পাবনায় ঔষধি ফসল কালোজিরার বাম্পার ফলন
পাবনার তিন উপজেলায় ঔষধি ফসল কালোজিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। এরমধ্যে কালোজিরা ঘরে তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। অর্থকরী ফসল কালোজিরায় এবার ভালো লাভ হবে বলে আশা করছে চাষিরা।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, পাবনা সদর, সুজানগর ও চাটমোহর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়। এই তিন উপজেলার চাষিরা আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কালোজিরার বাম্পার ফলনের আশা করছে।
সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে পাবনা সদর উপজেলায় ৯০ হেক্টর, সুজানগরে ৭০ হেক্টর এবং চাটমোহর উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে কালোজিরার আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় জাতের ১৭৫ হেক্টর ও হাইব্রিড বারী-১ জাতের ৬৫ হেক্টর। হেক্টরপ্রতি সোয়া টন কালোজিরার ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের মমিনপাড়া গ্রামের চাষি রওশন আলম এনটিভি অনলাইনকে জানান, প্রদর্শনীর আওতায় তিনি এক বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করেছেন। এই প্রথম তিনি এ ফসলের চাষ করেছেন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগ থেকে কালোজিরা চাষে তাকে ডিএপি, পটাশ, ইউরিয়া ও জিপসাম সার দেওয়া হয়েছিল। এক বিঘা জমিতে ২ কেজি বীজ লেগেছে। যার বাজার দর ৮০০ টাকা। কাটা ও মাড়াইয়ে খরচ হয়েছে। এ ছাড়া চাষ ও সেচ মিলে তার মোট খরচ তিন হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি তিন থেকে সাড়ে তিন মণ ফলন পাওয়া যাবে। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ কালোজিরার দাম ১০ থেকে ১১ হাজার হাজার টাকা। এতে তার ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন।
পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের কৃষক মজিবর জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করে সাত মন কালোজিরা পেয়েছেন। এতে সব খরচ বাদে তাঁর ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলার তিনটি উপজেলায় কালোজিরার ভালো ফলন হবে। মসলা ফসল হিসেবে কালোজিরার ব্যাপক চাহিদা। নানা রোগ প্রতিরোধে এটি ব্যবহার করা হয়। কালোজিরার তেলের চাহিদাও রয়েছে। কালোজিরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে। করোনাকালীন কালোজিরা খেলে করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।