পাবনায় উপনির্বাচনের সভায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দলীয় প্রতিনিধি সভা শেষে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানাসহ ছুরিকাঘাতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ১০ জন আহত হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সোমবার বিকেলে ঈশ্বরদী বাসস্ট্যান্ডে সভা শেষে দলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের বাড়িতে দুপুরে খেতে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় আগে খাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন জেলা যুবদলের সম্পাদক হিমেল রানা ও ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক তসলিম হাসান সুইটের সমর্থকরা। একপর্যায়ে ছুরিকাহত হন জেলা যুবদলের সম্পাদক হিমেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্রাণ সম্পাদক রানা মিয়াসহ পাঁচজন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ১০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় চলে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
পাবনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা হাবিবুর রহমান হাবিবের বাড়িতে অপেক্ষায় ছিলাম। হঠাৎ করেই ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান সুইটের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমিসহ যুবদলের নেতাদের ছুরিকাঘাত করে।’
দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রী মহল সরকারের উদ্দেশ্য সফল করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন হিমেল রানা।
হামলায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক তসলিম হাসান সুইট বলেন, ‘বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন সাবেক নেতা প্রথম থেকেই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন না। এর পরও আমরা রাত দিন পরিশ্রম করে মাঠ গুছিয়ে এনেছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিব্রত করতেই অহেতুক অস্থিরতার সৃষ্টি করা হয়েছে।’
তবে সংঘর্ষের ঘটনা নির্বাচনকেন্দ্রিক নয় দাবি করে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘যুবদলের ছেলেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বড় করে দেখার মতো কিছু নয়।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে মারামারির কথা শুনেছি। কোনো পক্ষই আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’