পানি দূষণকারী শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : পরিবেশ মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্য পানি দূষণের অন্যতম কারণ। শিল্পকারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। বর্জ্য পরিশোধনাগারবিহীন পানি দূষণকারী শিল্পকারখানা সমূহের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাথে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সদস্য মো. আলাউদ্দিন, মো. মুনিরুজ্জামান, ফিদা আব্দুল্লাহ খান, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসমূহ জায়গা নির্ধারণ করলে সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’
আলোচনার শুরুতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশের নদীসমূহের অবৈধ দখল, দূষণ ও নাব্যতা বিষয়ে বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি সারা দেশের নদীসমূহ কীভাবে অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
দেশের নদীগুলোর দূষণের ভয়াবহ পরিস্থিতি অবহিত হয়ে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, দেশের নদীর পানিকে মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবহারের লক্ষ্যে নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ কাজে লাগিয়ে নদীগুলো রক্ষা করতে তাঁর মন্ত্রণালয় কাজ করবে।