‘পাঠক অনেকে থাকতে পারে, স্বাধীনতার ঘোষক একজনই’
জনগণের ভোটের মাধ্যতমে নির্বাচিত সংখ্যারগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন বলে মন্তব্যব করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্য কারও বৈধ অধিকার ছিল না (স্বাধীনতার) ঘোষণা দেওয়ার। কাজেই ঘোষণা দেওয়ার পাঠক অনেকেই থাকতে পারে, কিন্তু ঘোষক একজনই।’
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসে আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার যে ঘোষণা, তা আসলে অন্য কারও দেওয়ার অধিকার ছিল না। এই ঘোষণা দেওয়ার ম্যা ন্ডেট শুধু বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘জনগণের ভোটের মাধ্য মে নির্বাচিত সংখ্যা গরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে সেদিন তিনি ম্যা ন্ডেটপ্রাপ্ত হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। অন্যর কারও বৈধ অধিকার ছিল না ঘোষণা দেওয়ার। কাজেই ঘোষণা দেওয়ার পাঠক অনেকেই থাকতে পারে, কিন্তু ঘোষক একজনই। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছিল।’
বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যর মতিয়া রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দলের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, ‘বর্ণচোরা মুক্তিযোদ্ধারাও সাম্প্রদায়িক শত্রুদের চেয়ে কম শত্রু নয়। এরা বরং আরও বেশি ক্ষতি করছে। এদের সবাই চিহ্নিত করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদের প্রতিহত ও প্রতিরোধ করব, এটা আজকের শপথ।’
ভারদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে একটি মহলের আপত্তি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো ব্যতক্তি বিশেষকে আমন্ত্রণ জানাইনি। আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছে একাত্তরে আমাদের প্রধান মিত্রদেশ ভারতের জনগণের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে। এখানে কোনো ব্যতক্তিকে আমরা আমন্ত্রণ করিনি।’
‘কাজেই যারা এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে, তারা ইচ্ছে করেই একটা মহল দূরভিসন্ধিকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে’, বলেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও মতিয়া রহমান, আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ব্যাররিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।