পাটকল দখল করে গুদাম তৈরি, খুলনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
নগরীর ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাজাক্স জুট মিলের জায়গা দখলে নিয়ে সার গুদাম তৈরির অভিযোগে যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিঙ্কনের নামে মামলা হয়েছে। আজ রোববার খুলনা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট খান জাহান আলী থানা আমলি আদালতে মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান লিঙ্কন যুবলীগ খুলনা মহানগরের খান জাহান আলী থানা শাখার আহ্বায়ক এবং জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক গাজী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, সাজ্জাদুর রহমান লিঙ্কন অ্যাজাক্স জুট মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা ছাড়াই মিলের জায়গা দখল করে বিভিন্ন সার ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেন। একদিকে মিলের জমি দখলে নিয়ে ভাড়া দেওয়া এবং অন্যদিকে সারের প্রতিক্রিয়ায় মিলের কল-কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে মিল মালিক ও তাদের লোকদের যুবলীগ নেতা লিঙ্কন ও তাঁর সহযোগীরা প্রাণনাশের হুমকি দেন।
মামলার বাদী অ্যাজাক্স জুট মিলের প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান কাওসার জামান বাবলা জানান, এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, খুলনার জেলা প্রশাসক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার খুলনাসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ করেছেন। মিলের সম্পত্তি সোনালী ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্য ঢাকা শাখায় দায়বদ্ধ থাকায় তাদেরও এসব অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. শরীফুল আলম তানভির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শককে জানান এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু অবৈধ দখলদারমুক্ত এবং সার গুদামজাত করার বিষয়ে কোনো কার্যকর অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেছেন। এতে তিনি ৮৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে যুবলীগ মহানগর আহ্বায়ক শফিকুর রহমান পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলেন, ‘আমি মিল দখল বা মামলার কথা জানি না। যুবলীগের কেউ কোনো অন্যায় কাজ করলে তাঁর দায় যুবলীগ নিবে না। আইন আইনের পথে চলবে। ব্যক্তিগত কেউ কোনো অপকর্ম করলে তার দায়দায়িত্ব তাঁকেই বহন করতে হবে।’