‘পাকিস্তানিদের অত্যাচারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথার পাশাপাশি পাকস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের অত্যাচারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। নইলে নতুন প্রজন্ম সব ভুলে যাবে।’
আজ শনিবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার খাজুরায় শহীদ মিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আ জ ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যাদের আমরা পরাজিত করেছি তাদের কথা উল্লেখ করি না। সেই হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস, জামায়াতে ইসলামী কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল, ইজ্জত সম্ভ্রম লুণ্ঠন করেছিল এবং গণহত্যা চালিয়েছিল সেই কথা আমাদের নতুন প্রজন্মরা জানে না। শুধু শোনে যে অত্যাচার করেছিল। অত্যাচারটা কী মাত্রায় করেছিল।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, একপক্ষের কথা শুনে রায় দিবে না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তারা শুধু আমাদের বীরত্বের কথা শুনবে সেটা হয় না। ওরা কী করেছিল মানুষ ভুলে গেছে। তারা যে পৈশাচিকতা করেছে সেটা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানে তাহলে তারা বুঝতে পারবে তাদের পূর্বপুরুষরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তারা কী করেছে আর যারা রাজাকারি করেছে তারা কী করেছে। আর সেটা বুঝে-শুনে যে রায় দেবে সেটাই প্রকৃত রায়। শুধু একতরফা শুনে রায় দিলে সেটা বেশিদিন থাকবে না। একসময় মন থেকে মুছে যাবে, হারিয়ে যাবে।’
স্থানীয় ইছালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবশে আরো বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজেক আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দেওয়া পাঁচ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন।