‘পরীক্ষা না করেই করোনার রিপোর্ট’, উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে আটক ৮
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। অভিযানে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি নিজেই এই অভিযানের নেতৃত্বে দিয়েছেন।
সারোয়ার আলম বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছিলাম রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আমরা এখানে এসে দেখেছি, তারা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত অসংখ্য নমুনার মধ্যে তারা মাত্র ৪২টার মতো নমুনা পরীক্ষা করেছে। এর চেয়ে দ্বিগুণ নমুনা পরীক্ষা না করেই করোনা নেগেটিভ-পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছে। আমরা এখানে ২৬ জনের নমুনা পেয়েছি, যেগুলো পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে রিজেন্ট।’
সারওয়ার আলম আরো বলেন, ‘সরকারিভাবে যে টেস্টগুলো ফ্রি করার কথা সেই টেস্টের জন্য রিজেস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাড়ে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছে। সবচাইতে জঘন্য যে কাজ করেছে সেটা হলো, টেস্ট না করে রিপোর্ট দেওয়া এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সিল ও প্যাড ব্যবহার করা। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন (নিপসম) সহ যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্যাড ও সিল তারা ব্যবহার করেছে। ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে ওইসব সিল বা প্যাড তাদের নয়।’
র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, ‘এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা চিকিৎসার নামে সরকারের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে আবার রোগীদের কাছ থেকেও মোটা অংকের বিল নিচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বিপুল পরিমাণ করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ জব্দ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে অর্থাৎ ছয় বছর আগে হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবুও তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে কিভাবে সনদ নিয়েছে বোধগম্য নয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’