পরকীয়ার জেরে যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
পরকীয়ার জের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ইউনুছ আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরিশালের কাজিরহাট উপজেলার পূর্ব রতনপুর গ্রামের শাকিল হাওলাদার (২৩) এবং তাঁর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন (২০)। তাঁরা আশুলিয়ার শ্রীপুর বলিভদ্র এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
সাটুরিয়া থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মার্চ সকালে সাটুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হান্দুলিয়া গ্রামের একটি লেবুবাগানে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে সে সময় তাৎক্ষণিক লাশের পরিচয় ও হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ওইদিন পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এ ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলমকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ওসি আশরাফুল আলম জানান, ঘটনার পরদিন অজ্ঞাত পরিচয়ে নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর গত বুধবার রাতে আশুলিয়া থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাকিল ও তাঁর স্ত্রী শাহনাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল দুপুরে তাঁদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানান, ইউনুছ আলীর সঙ্গে শাহনাজের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি তাঁর স্বামী শাকিল জানার পর তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা হয়। এরপরও শাহনাজকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ইউনুছ। পরে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শাহনাজ তাঁর নানার বাড়ি সাটুরিয়ার ওই গ্রামে নিয়ে যান। এরপর শনিবার রাতে হান্দুলিয়া গ্রামে লেবুবাগানে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করেন ওই দম্পতি।
ওসি আশরাফুল আলম বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শাকিলের এক সহযোগীও জড়িত। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।’