পটুয়াখালী জেলা লকডাউন
পটুয়াখালীকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে। এ জেলার পার্শ্ববর্তী বরিশাল ও বরগুনা জেলায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আরো উল্লেখ করা হয়, অবরুদ্ধকালীন জেলার সড়ক, নৌ ও আকাশপথে জনসাধারণের আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলার ভেতরে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একইভাবে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সব ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ওষুধশিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, পটুয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত তিনজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। একজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর পরও এত দিন জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যে পাশের দুটি জেলা উত্তরে বরিশাল ও দক্ষিণে বরগুনা জেলা লকডাউন ঘোষণা দিলে স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলাকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে লকডাউন করার দাবি তোলে। অবশেষে জেলা প্রশাসন আজ লকডাউনের ঘোষণা দেয়।