নড়াইলে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের পারবিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গৃহবধূ তামান্না বেগম (২০) পারবিষ্ণুপুর গ্রামের শিপন শেখের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই শিপন শেখের পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ তামান্নার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিপনের পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছে। আশা করি, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
তামান্নার বাবার বাড়ি উপজেলার পেড়োলী ইউনিয়নের খড়রিয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আকতার মোল্যা।
তামান্নার বাবা গণমাধ্যমকে বলেন, “গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের দিকে পারবিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে ফোনে একজন জানায়, ‘আপনার মেয়েকে মেরে রেখে শিপনের পরিবারের সবাই পালিয়েছে। আপনারা তাড়াতাড়ি আসেন।’”
‘তখন আমরা জামাই বাড়ি গিয়ে দেখি, তামান্না মাটিতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁর পাশে দেড় বছরের মেয়ে তাসলিমা কান্না করছে। আমরা বিষয়টি কালিয়া থানাকে জানাই।’
আকতার মোল্যা আরো বলেন, “গতকাল বিকেলে মেয়ে তামান্না ফোন করে আমাকে বলেছিল, ‘তোমাদের জামাই, বেয়াই, বিয়াইন মিলে আমাকে অনেক মেরেছে টাকার জন্য। তোমরা আমাকে নিয়ে যাও। আমি বাঁচবোনানে।’”
আকতার মোল্যা জানান, তিন বছর আগে তামান্নার সঙ্গে শিপনের বিয়ে হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে সংসারের জিনিসপত্র তিনি কিনে দেন। সম্প্রতি শিপন বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা চায়। আর এজন্যই তামান্নাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।