নড়াইলে পুলিশের বিরুদ্ধে দুই নারীকে মারপিটের অভিযোগ
নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পুরুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের গৃহবধূ নারগিস বেগমসহ দুই নারীকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া আসবাবপত্র ও রান্নাঘরের চুলা ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, মারধরের পর নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
নারগিস বেগমের স্বামী নড়াইলের চাঁদপুর গ্রামের সবুজ মৃধাসহ ভুক্তভোগীরা জানান, গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের রসুল শেখের ছেলে সোহেল শেখের (২৬) পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষরা। এ সময় সোহেলের স্ত্রী মীম ও দুই শিশু সন্তানকে মারপিট করে তারা। প্রতিপক্ষের হাত থেকে সোহেলের স্ত্রী মীম ও দুই শিশু সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হন সবুজ মৃধার স্ত্রী নারগিস বেগম (৪৫) ও সবুজের বোন রেশমা বেগম (৫০)। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ঘটনার পর ওইদিন রাত ১২টার দিকে গুরুতর অসুস্থ নারগিস নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হলে পুলিশ পথিমধ্যে বাধা দিয়ে স্থানীয় চাঁচুড়ি বাজারে নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের চিকিৎসা দেয়। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে নারগিস এখন ঘরের মধ্যে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। পুলিশি বাধায় হাসপাতালে যেতে পারছেন না। এদিকে, সবুজ মৃধার বাড়ির চেয়ারসহ আসবাবপত্র ও রান্নাঘরের চুলাও ভাঙচুর করা হয়েছে। চাঁদপুর গ্রামের গ্রামপুলিশ শিপান শেখের মদদে পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
তবে গ্রামপুলিশ শিপান শেখ জানান, তিনি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করেন না। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সব সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন।
এদিকে কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, চাঁদপুর গ্রামে এক নারী মারপিটের শিকার হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। পুলিশের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।