নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধির বৈঠক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। নির্ধারিত সময়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়াকে এ তথ্য জানান। জাইকা প্রতিনিধি সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এসে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলমেন্ট প্রজেক্টের কাজ এগিয়ে চলছে। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৮.২৩৫ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে প্রাথমিক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ২০৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। সওজ অংশের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ করা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্তবর্তীকালীন পিডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প সমন্বয়ক এবং চবক অংশের পিডি নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।
মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি এ বছরের ১০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটির অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ (প্রকল্প সাহায্য) ১২,৮৯২.৭৬ কোটি টাকা, সরকারি অর্থ ২,৬৭১.১৫ কোটি ও নিজস্ব অর্থ ২,২১৩.২৫ কোটি। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। অনুমোদিত প্রকল্পে দুটি কম্পোনেন্ট রয়েছে। বহুমুখী টার্মিনাল, কন্টেইনার টার্মিনাল ও অন্যান্য কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এবং পোর্টের সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সড়ক সংযোগকারী ২৬.১ কিলেমিটার (চারলেন বিশিষ্ট) মূলসড়ক, ১.৬ কিলোমিটার বাঁধ-কাম-সড়ক ও ১৭টি সেতু নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।