নৌকা না পেয়ে কষ্ট নেই নাছিরের, ‘কষ্ট দিয়েছে অপরাজনীতি’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ‘অপরাজনীতি আমাকে কষ্ট দিয়েছে।’
নাছির বলেন, ‘মেয়রের পদ বড় না, রাজনীতিটাই বড়। কেউ যদি বলত তিনি মেয়র হতে চান, আমি ছেড়ে দিতাম। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে দলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতভাগ মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার কোনো মানে হয় না। মনে রাখতে হবে, আমরা অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছি। আরেকজন আ জ ম নাছির তৈরি করতে অনেক বছর সময় লাগবে।’
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এসব কথা বলেন।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আ জ ম নাছির। ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলমকে পরাজিত করেন তিনি।
তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির। ‘নৌকা’ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটিতে লড়বেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তাঁর সময়ে নগরীর সর্বোচ্চ উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে আ জ ম নাছির বলেন, ‘প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত টেকসই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
আ জ ম নাছির বলেন, ‘তারপরও আমার কোনো অভিমান, ক্ষোভ, রাগ নেই। আমি রাজনৈতিক কর্মী, মাঠের কর্মী। মাঠ থেকে আজ এ পর্যায়ে এসেছি। অনেকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী আমাকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এরপর মেয়র পদে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাছির বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, মেয়র পদ না পেয়ে আমি কোনোভাবে হতাশ, বিক্ষুব্ধ বা নিরাশ হইনি। তবে একটি বিষয় আমাকে কষ্ট দিয়েছে। যে সংগঠনের জন্য জীবন-যৌবন দিয়েছি, তারাই আমাকে বঙ্গবন্ধুর খুনির দোসর বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ আমি প্রথম পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল (অব.) রশিদের সভায় হামলা চালিয়েছিলাম। ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করে চট্টগ্রাম থেকে তাড়িয়ে ছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ’৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে সর্বপ্রথম আমরা পাঁচ-ছয়জন মিছিল করেছিলাম।’
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ‘হাতি’ প্রতীক নিয়ে আ জ ম নাছির পেয়েছিলেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট। বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম ‘কমলালেবু’ প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন তিন লাখ দুই হাজার ৭১৩ ভোট।