কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কিভাবে মুক্ত করতে হবে সে ব্যাপারে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি করার দরকার নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে মূলধন করে যে রাজনীতি চলছে সেটা কষ্টের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধ মূলধনের বিষয় নয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধকে অব্যাহতভাবে ব্যবহার করা কোনোদিনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ রচনা করেছেন তারা ইতিহাসবিদ নন, তারা রাজনীতিবিদ। সারা বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করে ইতিহাসবিদেরা। কিন্তু বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করছেন রাজনীতিবিদরা। রাজনীতিবিদ যখন ইতিহাসবিদ হয়ে যান তখন সেটা ইতিহাস থাকে না।

আমীর খসরু বলেন, যে সমস্ত কারণে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে, আওয়ামী লীগ তার সব কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু সবকিছু ফেরত দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। উনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশকে একটা স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের যারা নতুন প্রজন্ম, তাদের দায়িত্ব সঠিক ইতিহাস আগামী দিনে প্রণীত করা। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই নেতৃত্বে যোগদান করবেন আপনারা। আপনারা আগামী দিনের কার্যক্রম ঠিক করুন। নেত্রীকে (বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) কিভাবে মুক্ত করবেন সেটার সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। তাহলেই, বাংলাদেশ যে কারণে স্বাধীন হয়েছে এবং ৭ নভেম্বরের যে চেতনা সেটার সঠিক রূপ দিতে পারব।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, ফারজানা প্রমুখ।