নেত্রকোনায় শীতে নাকাল জনজীবন
নেত্রকোনায় জেঁকে বসেছে শীত। হঠাৎ করেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জেলার সর্বত্র শীতে নাকাল সহায়সম্বলহীন অসহায় মানুষ। হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে বৃদ্ধ ও শিশু রোগীর সংখ্যা। আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
পাহাড় ও হাওরবেষ্টিত নেত্রকোনায় ঘন কুয়াশা ও শীতল হাওয়ায় শীতে বিপর্যস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আগুন ও খড়কুটো জ্বালিয়ে পার করছেন শীতের সকাল। ঠাণ্ডায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধসহ রোগীর সংখ্যা।
বিশেষ করে গত বুধবার বিকেল থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। শহরেও চলাচল অনেক কমে গেছে।
এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী, মো. লোকমান হোসেন, মো. রেজাউল ইসলাম শহরের বড় রেলস্টেশন, চকপাড়া, ঠাকুরাকোনা রেল কলোনি ও ঠাকুরাকোনা মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন এলাকায় শীত নিবারণের জন্য তিন শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এ ছাড়া আনন্দবাজার, পারলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে এনডিসি আব্দুল কাইয়ুম, সহকারী কমিশনার নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ দুই শতাধিক শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
অপরদিকে বর্নী বাসস্ট্যান্ড, কুরপাড় এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেওয়ান মো. তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বুলবুল আহম্মেদ তালুকদার দুই শতাধিক শীর্তাতদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।