নেত্রকোনায় ট্রলারডুবি : ৬ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৫
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় গুমাই নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় চালকসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী হারানো আব্দুল ওয়াহাব বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার কলামাকান্দা থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় ট্রলারচালক সোহাগ মিয়া, বলগেট চালক আবু জাফর ও তাঁদের সহকারী এবাদুল, রিপন মিয়া, সোহাগ এবং বিপন মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ট্রলার ও বলগেট চালকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজারুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা থেকে আর কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। এজন্য উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নতুন করে কোনো লাশ উদ্ধার করা যায়নি।’
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বরখাপন ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম সংলগ্ন গুমাই নদীতে বালুবাহী বড় নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে প্রায় ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি কলমাকান্দা হয়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বালুবোঝাই বড় নৌকার ধাক্কায় ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানায়, ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে ময়মনসিংহ থেকে ডুবরি দল ঘটনাস্থলে এসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালায়। নতুন করে আর কোনো লাশ উদ্ধার হয়নি।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো. কাজী আব্দুর রহমান বলেন, ‘ ট্রলারডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা যথারীতি কাজ করছেন।’