নেত্রকোনায় ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
নেত্রকোনার বারহাট্টা, কলমাকান্দা ও মোহনগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে হাজার হাজার হেক্টর জমির কাঁচাপাকা ধান, পাট, সবজিসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ঘরবাড়িসহ শত শত গাছপালা।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, তিন উপজেলায় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় চার হাজার ১৯৫ হেক্টর জমির ফসল।
গতকাল শুক্রবার জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, কলমাকান্দা উপজেলার হুগলা, বড়কাপন ও কৈলাটি ইউনিয়ন এবং বারহাট্টা উপজেলার সিরাম, আসমা, ইউনিয়নে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিন উপজেলার হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান, পাট, মরিচের ক্ষেত, ডাটা ক্ষেতসহ অন্য ফসল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মাটিতে মিশে গেছে। কাঁচাপাকা ধান এখন নষ্ট হয়ে কাটার অনোপযোগী হয়ে পড়েছে।
আগামী আট ১০ দিনের মধ্যে বোরো ফসল কৃষকের ঘরে তোলার সময় হলেও এখন তা গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে অনেকেই। এর আগে আগাম বন্যায় ফসলহানি হয় আর এইবার প্রথমে গরম হাওয়ায় ধানে চিটা এবং শীলাবৃষ্টির কারণে ফসল ক্ষতি হওয়াতে কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো পড়েছে চরম বিপাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘এভাবে শীলাবৃষ্টি আমরা কখনও দেখিনি। ঋণ করে জমি আবাদ করেছি। এখন আমাদের খুব খারাপ অবস্থা। সরকার সাহায্য না করলে আর বাঁচার সুযোগ নেই।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের কারোর হাত নেই। জেলার তিন উপজেলায় বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় চার হাজার ১৯৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের বলছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাঠের পাকা ফসল ঘরে তুলতে হবে।’