নেত্রকোনায় করোনার লক্ষণ নিয়ে একজনের মৃত্যু, ৭ বাড়ি লকডাউন
নেত্রকোনার পূর্বধলায় সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রমজান আলী (৩৮) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর বাড়িসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের কিছমত বারেঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়িতে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে রমজান আলীর মৃত্যু হয়। তিনি শ্যামগঞ্জ বাজারের রহিমের খাবার হোটেলে চাকরি করতেন। তাঁর বাবার নাম মৃত আবদুল আজিজ।
পূর্বধলায় এ নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
শ্যামগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ওহেদুর রহমান খান মামুন জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে তিনিসহ ডা. কনক প্রভা নন্দীর উপস্থিতিতে ল্যাব টেকনিশিয়ান খায়রুল ইসলাম রোগী রমজানের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেস্টের জন্য পাঠান। এর ৮ ঘণ্টা পরই রমজান মারা যান।
ডা. মামুন আরো জানান, রমজান আলীর ১০ থেকে ১৫ বছর আগে যক্ষ্মা হয়েছিল। পরে তিনি সুস্থ ছিলেন। কয়েকদিন ধরে তিনি সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল তাঁর এক ভাতিজা ফোন করে জানান, তাঁর চাচা বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভুগছেন। তাই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করতে বলেন। সোমবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর পর পরই মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম জানান, যেহেতু মৃত্যুর আগেই ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই রিপোর্ট আসার পরই তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।