নেত্রকোনায় অচল বালুমহাল!
নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদীর বালুমহাল থেকে সাতদিন ধরে বন্ধ বালু উত্তোলন। সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন থেকে ভিজা বালু পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা দিলে কাজ বন্ধ করে দেয় পরিবহণ শ্রমিকরা। এতে অচল হয়ে পড়ে বালু মহালগুলো। ফলে বেকারত্বে ভুগছেন বালু উত্তোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার শ্রমিক।
জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলার দুর্গাপুরের পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী নদীর পাঁচটি ইজারা মহাল থেকে সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। সম্প্রতি ওই সব মহাল থেকে ভিজা বালু পরিবহণ নিষেধ করে স্থানীয় প্রশাসন। সড়ক ও জানমালের নিরপত্তায় এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানানো হয়। এতে বালু মহালে কর্মরত পরিবহণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে গত ৪ আগস্ট থেকে ওই শ্রমিকরা পরিবহণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
সোমেশ্বরী নদীর ২নং রালু ঘাটের ইজারাদার ধনেশ পত্রনবীশ বলেন, ‘শুরু থেকে আমার ঘাট থেকে শ্রমিকরা ভিজা ও ওভারলোড বালু পরিবহণ চলমান ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ভিজা ও ওভারলোড বালু পরিবহণে নিষেধ করা হয়। এতে সমস্যা তৈরি হয়। সাত দিন ধরে ইজারাকৃত আমার ও ওই নদীতে আরও চারটি ঘাট থেকে বালু পরিবহণ বন্ধ রয়েছে।’
দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন আলাল বলেন, ‘বালু পরিবহণ বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি বালু শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও শ্রমিকদের বসা উচিত বলে আমি মনে করি।’
নেত্রকোনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। বাসের ভাড়া নির্ধারণ করলেও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। অন্যদিকে, ট্রাক মালিক ও বালুর ইজারাদারা আমাদের বাড়তি টাকা দিচ্ছে না। ফলে পরিবহণ বন্ধ আছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি, অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজিব উল আহসান জরুরি কাজে ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন বলে জানান।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘দুর্গাপুরে বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ আছে শুনেছি। তবে কী কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ আছে, বিষয়টি অফিসিয়ালি আমাকে কেউ জানায়নি।’