নেতাদের ‘তুলে নেওয়া’র প্রতিবাদে ছাত্র অধিকার পরিষদের মানববন্ধন
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুখ হাসান, মশিউর রহমান, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় সেখানে ‘তুলে নিয়ে যাওয়া’ নেতাদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, তাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি কমিটির সহসভাপতি মো. নাজমুল হুদাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে মো. রাশেদ খান বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে সবাই খারাপ না। আমরা অনেক মানবিক পুলিশ অফিসার দেখি। কিন্তু গুম, খুন, নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত আমরা তো তাদের সমালোচনা করতেই পারি। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের পুলিশবিদ্বেষী ভাববেন না, আমাদের সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে সহযোগিতা করুন।’
রাশেদ আরো বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের নেতাদের ডিবি পরিচয়ে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের মতো একটা রাষ্ট্রে এমন নিষ্ঠুর কাজ কখনো কাম্য নয়। স্বাধীন দেশ বলা হলেও আমরা প্রকৃতপক্ষে আজ স্বাধীন নই।’
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর পরস্পর যোগসাজশে অপহরণ করে ধর্ষণ, ধর্ষণে সহায়তা এবং হেয়প্রতিপন্ন করে ডিজিটাল মাধ্যমে অপপ্রচার করার অভিযোগ একই ব্যক্তিদের আসামি করে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় আরেকটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহসভাপতি মো. নাজমুল হুদাকে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার হাজির করে পুলিশ। পরে তাদের কোতোয়ালি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করে দুদিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।