নুসরাতের ১২ খুনি ফেনী থেকে কুমিল্লা কারাগারে
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনকে আজ মঙ্গলবার সকালে ফেনী জেলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী উম্মে সুলতানা পপি ও কামরুন নাহান মনিকে আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা ও মাদ্রাসার সহসভাপতি রুহুল আমিনের আগামীকাল বুধবার ফেনী আদালতে হাজিরা থাকায় তাঁদের আজ স্থানান্তর করা হয়নি। আদালতের কার্যক্রম শেষে বুধবার বিকেলে তাঁদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর কথা রয়েছে।
কারাগারের জেলার দিদারুল আলম জানান, ফেনী কারাগারে কনডেম সেল না থাকায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কোন কারাগারে পাঠানো হবে নির্দেশনা চেয়ে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চিঠির নির্দেশনা অনুসারে আসামিদের অন্য কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
গত ২৪ অক্টোবর ফেনী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হয়।
গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ডেকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে যায়। পরে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান। পরের দিন ১১ এপ্রিল বিকেলে সোনাগাজীতে তাঁর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।