নিজের মেয়েই খুন করেন চাঁনতারাকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের চাঁনতারা বেগমকে (৪৫) গলা কেটে তার মেয়ে তানিয়া আক্তারই হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান।
নিহত চাঁনতারা বেগম জেলার নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর এলাকার মো. খলিল মিয়ার স্ত্রী।
গতকাল রোববার আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন নিহত চাঁনতারার মেয়ে তানিয়া।
গত শনিবার সকালে বিরামপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে চাঁনতারার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় চাঁনতারা বেগমের ভাই মো. জাকির হোসেন সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিুসর রহমান জানান, দুই বছর আগে খলিল-চাঁনতারা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান হাসান (১৪) নিখোঁজ হয়। এর ফলে ছেলের জন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন চাঁনতারা। গত শনিবার ভোরে ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে যান খলিল মিয়া। এ সময় চাঁনতারা বাড়ির বাইরে চলে যেতে চাইলে তানিয়া তাকে ঘরে এনে ঘুমানোর জন্য বলে। কিন্তু চাঁনতারা না ঘুমিয়ে বটি এনে তানিয়াকে বলেন, ‘নে আমারে মাইরলা’। তখন তানিয়া রেগে গিয়ে বিরক্ত হয়ে ওই দা দিয়ে গলায় টান দেন। পরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে চাঁনতারা বেগম মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আহম্মেদ, সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।