নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে, মা-বাবা গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার পর দুদিনের মাথায় বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সোহান হোসেন নামের ১৫ দিন বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের হাওয়ালখালি গ্রাম থেকে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা ফাতেমা খাতুন ও বাবা সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মা-বাবার স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে গতকাল রাতে লাশ উদ্ধার করা হয়। ফাতেমা খাতুন তাঁর শিশু সন্তানকে হত্যা করে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে দিয়েছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দিনমজুর সোহাগ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন হাওয়ালখালি গ্রামে বসবাস করেন। গত ১১ নভেম্বর তাঁদের প্রথম পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করা হয় খুলনার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে গত ২৪ নভেম্বর শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। শিশুটি নিউমোনিয়া, জন্ডিস ও হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিল বলে জানায় তার মা-বাবা।
এদিকে বাড়িতে আনার একদিনের মাথায় গত বুধবার শিশুটি আকস্মিকভাবে বাড়ির বারান্দা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে তার মা-বাবা দাবি করেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ ঘটনায় বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁরা স্বীকারোক্তিতে জানান, শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাঁরা তাকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। পরে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন জানান, সোহান হোসেনের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।