নারী ও শিশু আইন : আইনে একমাত্র শাস্তি কেন অবৈধ নয়
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের তিন ধারায় একমাত্র সাজা নির্ধারণ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। আইনজীবী শিশির মনিরসহ ১০ জন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।
পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতম দমন আইনের ৯ (১) এ ধর্ষণের জন্য একমাত্র শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। ধারা ৯ (৪) (ক) ধর্ষণ করে হত্যা বা আহত করার চেষ্টার জন্য একমাত্র শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১১ (ক) এ যৌতুকের জন্য হত্যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও হত্যাচেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড সংবিধান পরিপন্থী।
আইনজীবী আরো জানান, এসব ধারায় একমাত্র শাস্তি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।
আইনের দুটি ধারা একমাত্র সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন এবং অপর একটি ধারায় মৃত্যুদণ্ডের কথা উল্লেখ আছে। একমাত্র সাজা যখন নির্ধারণ করা হয়, তখন তা বিচারকের এখতিয়ারকে খর্ব করে। এ ছাড়া ক্ষমতা পৃথকীকরণের নীতিরও পরিপন্থি। এসব যুক্তিতে রিট আবেদনটি করা হয়।