নারীর শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ
বাগেরহাটের মোংলা পৌর শহরের একটি বাড়িতে ঢুকে দুই নারীর শ্লীলতাহানি ও একজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাহাবুবুর রহমান মানিক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত শনিবারের এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
থানায় দাখিল করা অভিযোগ ও সন্ত্রাসী হামলায় আহত শহিদুল গাজীর স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান, গত শনিবার পৌর শহরের আঁখি সিনেমা হল সংলগ্ন তাঁর ভগ্নিপতির পৈত্রিক বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তাঁর দুই বোন। ওই দিন দুপুর ২টার দিকে মাহবুবুর রহমান মানিক ও তার সহযোগীরা মিলে বাড়িতে জোর করে ঢোকে। এ সময় তারা দুই বোনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। জোর করে তাঁদের স্বর্ণালংকার ও ঘরের মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
মুক্তা বেগম আরো জানান, তাঁর দুই বোনের চিৎকারে ছুটে যান তাঁর স্বামী শহিদুল গাজী। সন্ত্রাসীরা তাঁর স্বামী ও দুই বোনকে বেধড়ক মারপিট করে তাঁদের মাথা ফাটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাঁদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মোংলা পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএলএস সড়কের বাসিন্দা মরহুম আবদুস সালাম ফকিরের একটি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল কয়েক মাস ধরে। আবদুস সালামের দুই স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে ওই জায়গাটি দীর্ঘদিন সমানভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। তবে ওই সম্পত্তি মরহুম সালামের এক স্ত্রী এককভাবে দাবি করায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই সম্পত্তি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বরাদ্দ নিয়েছিলেন মরহুম আবদুস সালাম। আর ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মাহবুবুর রহমান মানিক চুক্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেখানে লুটপাট, হামলা এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই রাতেই মোংলা থানায় মানিকসহ মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দেন মুক্তা বেগম। কিন্তু দুই দিন পার হলেও সেটা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমান মানিক বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে ফোন দিলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। দুই পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতার চেষ্টা চলছে।