‘নারীদের কাজের সুযোগ দিতে হবে’
স্থানীয় সরকারে নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদ রাখা হয়েছে। তবে নারী কাউন্সিলরদের অভিযোগ, তাঁরা কাজ ঠিকমত করতে পারেন না। একই অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শামসুন নাহার ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘শুধু সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হলে তো হবে না, তাঁদের কাজের সুযোগও দিতে হবে।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন। উত্তরের ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৭ জন এবং দক্ষিণের ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮২ জন নারী প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে দক্ষিণে দুইজন এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহত্তর দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে এলাকা ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন সবাই।
গত ১৫ বছর ধরে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন শামছুন নাহার ভূঁইয়া। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (২৭, ২৮ ও ৩০ নম্বর) কাউন্সিলর পদে এবারও ভোটে লড়ছেন তিনি। এবারও সমর্থন পেয়েছেন বিএনপি থেকে। তিনি বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক।
শামছুন নাহার ভূঁইয়া বলেন, ‘আসলে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের জন্য কোনো নীতিমালা নাই, যে আমরা কী কাজ করব। সরকারিভাবে কিছু বলা নাই। আমরা যখন কাজ করতে যাই, তখন মেয়ররা বলেন, আপনার তো কোন নীতিমালা নাই, আপনি কী কাজ করবেন? নারীরা কী কাজ করবে, সেটা নির্ধারণ করা হোক। শুধু সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হলে তো হবে না, তাদের কাজের সুযোগও দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের কঠিন যুদ্ধে সামলে নির্বাচিত হলেও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ খুব কমই পাই। তবে যতটুকু সুযোগ পাই তা এলাকার জনগনের জন্য ব্যয় করি । জনগণও আমাকে সেভাবেই গ্রহণ করছেন।’
শামছুন নাহার ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি তারা আমাকে সাদরে গ্রহণ করছে। আমার এলাকায় যখনই যে সমস্যায় পড়ে আমি পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। আমার এলাকার মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতাল, বলতে গেলে মাসে চার পাঁচবারই যেতে হয় আমাকে। এলাকার কারো কোনো অসুস্থ হলে সবার আগে খবর আসে আমার কাছে। হাসপাতালের সেবাটুকু নিশ্চিত করা সহ সব ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্ট করি। আমি দীর্ঘদিন রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছি।
শামছুন নাহার ভূঁইয়া আরো বলেন, ‘নারীদের নিয়ে কাজ করি। নারী অধিকার, নারী নির্যাতন রোধে সবসময়ই নারীদের পাশে থাকি। আমি বিশ্বাস করি এক সীমাবদ্ধতার মাঝেও জনগণের পাশে আমি যতটুকু ছিলাম তাতে তাঁরা এবারও আমাকে স্টিলের আলমারি মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বচিত করবে।’