নানা কর্মসূচিতে শহীদ ডা. মিলন দিবস পালিত
নানা কর্মসূচিতে পালন করা হয়েছে শহীদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ শুক্রবার সকালে শহীদ মিলনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধা জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, ‘সব অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।
অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান অভিযোগ করেন, ‘দেশের মানুষের ভোটাধিকার নেই তাই গণতন্ত্র এখনো অবরুদ্ধ হয়ে আছে।’
অন্যদিকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষকলীগ, বাংলাদেশ যুবলীগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এবং শহীদ ডাক্তার মিলনের পরিবারবর্গ।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের ফলে সমগ্র সমাধি ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিঝরা উত্তাল দিনে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পাশে এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এরশাদবিরোধী আন্দোলন বেগবান হয়। গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।