নাটোরে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আজ শুক্রবার ভোরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি বড়াইগ্রামের বাটরা গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত তাসলিমা খাতুন তাঁর স্ত্রী। তাসলিমা একই উপজেলার জোয়াড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের অভিযোগ, গোপনে গর্ভের সন্তান নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তাসলিমা খাতুনের কলহ সৃষ্টি হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর কর্মস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি জোয়াড়ি গ্রামে যান মনিরুল। ওইদিন রাতে তাসলিমাকে ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন পরিবারের লোকজন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে এনায়েতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এ সময় পালিয়ে যান মনিরুল।
পরে আজ শনিবার ভোরে তাসলিমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে নাটোরে পর্যায়ক্রমে তিন পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর সবকিছু জানা যাবে বলে জানান তিনি।