নাটোরে ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, প্রেমিকাসহ আটক ৮
নাটোর সদর উপজেলার নবীনকৃঞ্চপুর গ্রামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার রাতে গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিকা সোনিয়াসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম কামরুল ইসলাম। তিনি নবীনকৃষ্ণপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাটোরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘রাজশাহী সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির (আরএসটিইউ)’ বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহতের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং বাঁ চোখের ওপরে ফোলার চিহ্ন দেখা গেছে। তাঁকে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে কামরুলকে কে বা কারা মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজির পর রোববার দুপুরে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পরিবার। বিকেলে এলাকার শিশুরা খেলতে গিয়ে ঘটনাস্থলের পাশে ঘাসের মধ্যে কামরুলের মোজা দেখতে পায়। বিষয়টি জানতে পেরে রাত ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন ওই স্থানের আশেপাশে সন্ধান করতে থাকে। পরে নুরু মিয়ার বাঁশ বাগানে গিয়ে কামরুলের মরদেহ শনাক্ত করেন তারা।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় পুলিশ। ঘটনার পর পরই অভিযানে নামে পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় কামরুলের প্রেমিকা সোনিয়াসহ আটজনকে।