রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পরদিন আজ বৃহস্পতিবার নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুলে পুলিশের ব্যারিকেড দেখা গেছে। ওই সব সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। সেখানে অবস্থান করছে পুলিশ। ব্যারিকেড পার হতে দেওয়া হচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মীদেরও। তবে, জরুরিসেবার সঙ্গে জড়িতদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে, দাবি পুলিশের। এ ছাড়া এ পথ দিয়েই যাদের বাসা, তাদেরও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর যেতে দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পর নয়াপল্টন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর এই দুই মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড দেখতে পান তারা।

এদিকে, আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে থেকে দেখা যায়, নাইটিঙ্গেল মোড়ে কিছুক্ষণ পর পর বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় জমানোর চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে পুলিশকেও দফায় দফায় ধাওয়া করতে দেখা গেছে। তারপরও নেতাকর্মীরা অবস্থান নিচ্ছেন ও স্লোগান দিচ্ছেন।

অন্যদিকে, চলাচল করতে না পেরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেক স্থানীয়রা। কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান তারা।

মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভেতরের একটি অফিসে আমার দেশের বাইরে যাওয়ার কাজ আটকে আছে। সেখানে যেতে চাচ্ছি, কিন্তু আমাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’

ওই পথ দিয়েই যাদের বাসায় যেতে হয়, তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্ত হওয়ার পর যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে, বেগ পেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এনামুল হক মিঠু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভেতরে আমাদের ক্রাইম সিনের লোকজন কাজ করছে। নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমরা সবাইকে ঢুকতে দিচ্ছি না। সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষদের ঢুকতে দিলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। সেজন্য জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত এমন মানুষকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। যারা এর মধ্যে বসবাস করেন, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।’