নলছিটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সুজন সভাপতি ও সাংবাদিক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠির নলছিটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধাকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটুর করা মামলায় তাঁকে বাড়ি থেকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নলছিটি পৌরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মেয়র আবদুল ওয়াহেদ খান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটুকে নিয়ে সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধা আপত্তিকর মন্তব্য করে সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই নলছিটি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটু। পুলিশ রাতেই পৌর এলাকার গৌরিপাশা গ্রামের বাড়ি থেকে সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধাকে গ্রেপ্তার করে। খলিলুর রহমান মৃধার বাড়ি গৌরিপাশা গ্রামে। তিনি সুজনের উপজেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক জনতার উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি গত ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানহানি হয়েছে। আসামি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি পৌরসভার ভালো চান না। এই পোস্ট হাজার হাজার মানুষ দেখেছে। ফলে জনমনেও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে তিনি মামলা করেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বলেন, ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় তিনি একাই আসামি।
খলিলুর রহমানের পরিবার জানায়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে শহিদুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধার বিরোধ চলছিল। এরই জেরে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা করা হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বের তার মুক্তি দাবি করেছেন জেলার সাংবাদিকরা। তার মুক্তি দাবি করেছেন সুজনের ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি মো. ইলিয়াছ সিকদার ফরহাদও।