নদী তীরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ হবে না : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নদী তীরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত। সেগুলো সমন্বয়ের লক্ষ্যে ইসলামিক চিন্তাবিদ, আলেম ওলামা, মাসায়েখ যারা ধর্ম প্রচার করে থাকেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ নয়, সেগুলোর সমন্বয় করতে চাই।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর তীরভূমিতে বিদ্যমান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনা পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকাকে বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীতীর দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নদী তীরভূমি দখলমুক্ত, দূষণমুক্ত এবং নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত এক বছর সামর্থ অনুযায়ি বাধাহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মিডিয়ার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।’
বৈঠকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ের লক্ষ্যে আরো সার্ভে করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ, ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী আশরাফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, অর্থ বিভাগ, রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা, টঙ্গি ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর (বৃত্তাকার নৌপথ অংশ) তীরভূমিতে অননুমোদিতভাবে গড়ে উঠা ১১৩টি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার ৭৭টি। কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা পাঁচটি, ঈদগাহ একটি, স্কুল ও কলেজ ১৪টি, মন্দির ও শ্মশানঘাট ১৩টি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তিনটি।