নকল-ভেজাল শিশুখাদ্য তৈরি, দুই কারখানা সিলগালা
দেশের নামি-দামি ব্রান্ডের নকল ও ভেজাল শিশুখাদ্য উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করার অপরাধে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই কারখানা মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিপুল উৎপাদিত পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। কারখানা দুটির যন্ত্রপাতি জব্দসহ সিলগালা করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা পরিচালিত দুটি পৃথক অভিযানে মালামাল জব্দ ও কারখানা দুটি সিলগালা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব পৌরশহরের চণ্ডিবেড় এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার কারখানায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নামিদামি কোম্পানির পণ্যের আদলে তৈরি করা নকল ও ভেজাল আইসক্রিম, জুসসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করা হয়। এসব পণ্য তৈরি, মজুদ ও বাজারজাত করার অপরাধে কারখানা মালিক ইব্রাহিম মিয়াকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় জব্দকৃত পণ্য ধ্বংস ও যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এরপরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের পলতাকান্দা এলাকার অপর একটি কারখানায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু অভিযানের খবর পেয়ে আগেই মালামাল সটকে পড়ে লোকজন। সেখান থেকে বেশ কিছু ভেজাল ও নকল আইসক্রিম ও জুসের মোড়ক ও লেভেল জব্দ করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় প্যাকেজিং করার দুটি যন্ত্র জব্দ করে নিয়ে আসে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া রাত ৮টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা পরিচালিত অপর একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের কমলপুর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ইদ্রিস মিয়ার কারখানায় অভিযান চালায়। সেখানে নামকরা বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের আদলে তৈরি করা নকল ও ভেজাল আইসক্রিম, জুস, গুঁড়োদুধ, হরলিক্স জব্দ করে। একটি বিরাট দালানের তিনটি ফ্লোরজুড়ে কারখানাটি। সেখানে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল শিশুখাদ্য তৈরি করে আসছিল কারখানাটি। পরে এ অপরাধে কারখানা মালিককে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। যন্ত্রপাতি জব্দ করে সিলগালা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভৈরব থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযানগুলি পরিচালনা করা হয়। দুই কারখানাকে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমান ও কারাখানা সিলগালা করা হয়েছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’