নওগাঁয় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হোম কোয়ারেন্টিনে ৮৮৪ জন
নওগাঁয় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিদেশ থেকে আসা ৮৮৪ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত নওগাঁর ১১ উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে ছিল ২০৪ জন। আজ রোববার সকালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৫ জনে। একদিনের ব্যবধানে ৮৮৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর সিভিল সার্জন আখতারুজ্জামান আলাল।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে নওগাঁয় আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা রয়েছে। নওগাঁ সদরসহ ১১ উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা এসব ব্যক্তিরা ইতালি, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুর, চীন, ব্রনাই, মালয়েশিয়া, জাপান, লেবানন, কঙ্গো, ফ্রান্স, ভারত, ওমান, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত ছিলেন।
নওগাঁর সিভিল সার্জন আখতারুজ্জামান আলাল বলেন, ‘আজ সকালে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তিনজনকে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এক হাজার ৮৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২০৯ জন, রানীনগর উপজেলায় ৯১ জন, আত্রাই উপজেলায় ১০৪ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৩৮ জন, মান্দা উপজেলায় ১০০ জন, বদলগাছি উপজেলায় ১০৬ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ১৩৩ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ৩১ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭৫ জন, সাপাহার উপজেলায় ৭০ জন ও পোরশায় ৩৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টিনে প্রত্যেককে ১৪ দিন থাকতে হবে। এ সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে তারা মোবাইলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রত্যেককে বাইরে চলাফেরা না করে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা যেন বাড়ির বাইরে আসতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী মনিটরিং জোরদার করেছে। জরুরি প্রয়োজনে মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। গুরুতর কিছু হলে জরুরি ভিত্তিতে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’