নওগাঁয় রেস্টুরেন্টের নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা
নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সকালে হোটেলের ভেতর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ।
নিহত আতাউর রহমান জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার চকমহিতুল গ্রামের আহম্মদ মণ্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী এলাকায় বসবাস করে আসছিলন।
হোটেলের ব্যবস্থাপক মুনজুরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোটেল বন্ধ করে তিনি বাসায় চলে যান। সকাল সাড়ে ৭টায় হোটেলের বাবুর্চি হোটেলে এসে আতাউর রহমানকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে বাবুর্চি তাঁকে বিষয়টি জানালে তিনি রেস্টুরেন্টে এসে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কাপড়ের ভেতরে আতাউর রহমানের মরদেহ দেখতে পান।
মুনজুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই রেস্টুরেন্টে নৈশ প্রহরীর কাজ করে আসছিলেন আতাউর রহমান। তাঁর সঙ্গে বাদল নামের একজন রাতে থাকতেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, নিহত আতাউর রহমান ও ওই রেস্টুরেন্টের সহকারী রাঁধুনি বাদল রাতে একসঙ্গে ছিলেন। সকালে প্রধান রাঁধুনি এলে আতাউরের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরজুড়ে খোঁচানোর চিহ্ন পাওয়া যায়।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি যৌথ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই। রাজশাহী সিআইডি ফরেনসিক বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শেষে আতাউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক সহকারী বাবুর্চি বাদলকে আটকে অভিযান চলছে। বাদলকে আটক করা সম্ভব হলে আতাউর রহমানের মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সম্ভব হবে আশা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।