নওগাঁয় ঝড়ে আম ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি, শ্রমিকের মৃত্যু
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উঠতি বোরো ধান ও আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় নির্মাণাধীন তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দুটি গবাদি পশু মারা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে আকস্মিক উত্তর-পশ্চিমদিক থেকে কালবৈশাখী ধেয়ে আসে। ঝড়টি জেলার পোরশা, সাপাহার, পত্মীতলা ও ধামইরহাটসহ বেশ কিছু উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এতে এলাকার উঠতি বোরো ফসল ও আমের ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে সাপাহার ও ধামইরহাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আম বাগান মালিক আতাউর রহমান জানান, তাঁদের বাগানের অসংখ্য আম ঝড়ে পড়ে গেছে। আম্রপালি আমের গাছগুলো আকারে ছোট হওয়ায় গাছের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কোনো কোনো এলাকায় বড় বড় আমগাছের অনেক ডালপালা ভেঙে পড়েছে।
সাপাহার উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষক আতাউর রহমান সেলিম জানান, এই উপজেলায় প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১৫ টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঝড়ে উপজেলায় গড়ে ৫ শতাংশ আম পড়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এদিকে ধামইরহাটে কালবৈশাখীতে ২০৫ হেক্টর জমির ধান ও ২০ হেক্টর ভুট্টা ক্ষেত মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। উপজেলার নানাইচ গ্রামের পেপার বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমের একটি গাভী ও একটি বাছুর মারা গেছে।
এছাড়া, একই দিন ঝড়ের তাণ্ডবে ওই উপজেলার সরকারপাড়া এলাকার রাশিদুল ইসলামের তিনতলা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে কবেজ উদ্দিন (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত কবেজ উদ্দিন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের বড়শিবপুর গ্রামের সানেকুল ইসলামের ছেলে।