নওগাঁয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নয়জনের কারাদণ্ড
দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের মামলায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমসহ নয়জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার রায়ে রাইগাঁ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমকে এক বছরের এবং অপর আট আসামিকে তিন মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল নওগাঁর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫-এর বিচারক সাইফুল ইসলাম এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোফাখখার ইসলাম জানান, ২০১৭ সালে কুরবানির ঈদ উপলক্ষে মহাদেবপুরের মাতাজীতে পশু বিক্রির হাট বসে। সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের যোগসাজশে ইজারাদারের লোকজন পশু কেনাবেচায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছিল। এ বিষয়ে দিলীপ কুমার সাহা নামের এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কাজে অভিযোগ করেন। ওই বছরের ৩০ আগস্ট মহাদেবপুর উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয়জনকে জরিমানা করেন।
এ ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফুটবল খেলার মাঠে রাইগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম দলবল নিয়ে দিলীপ কুমারের ওপর হামলা চালান। এ ছাড়া মাতাজী হাটে অবস্থিত দিলীপ কুমারের মালিকানাধীন একটি দোকানঘরে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করে চেয়ারম্যানের লোকজন।
এ ঘটনায় ওই দিনই মহাদেবপুর থানায় চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দিলীপ কুমার। পুলিশি তদন্তে শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানির পর গত মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক সাইফুল ইসলাম ওই চেয়ারম্যানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, তাঁর তিন সহোদর সুলতান মাহমুদ, বদিউল আলম, শাহ আলমসহ আট আসামিকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আব্দুস সামাদ ও মোকসেদ আলী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোফাখখার ইসলাম।