ধর্ষণ শেষে হত্যার পর শিশুটিকে ময়লার স্তূপে ফেলে দিল ২ কিশোর
গাজীপুরের টঙ্গীতে ময়লার স্তূপ থেকে এক মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
নিহত শিশুটির নাম চাঁদনি (৭)। সে টঙ্গী থানার বেলতলা এলাকার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।এরই মধ্যে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা করেছেন।
আর আটক কিশোরের (১৫) ব্যাপারে র্যাব-১-এর পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, তার পরিবার টঙ্গীর বেলতলা মসজিদ রোডের ভাড়াটিয়া। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। সে ও তার সহযোগীরা মিলে টঙ্গী রেল স্টেশন এবং আশপাশ এলাকায় নিয়মিত চুরি-ছিনতাই করে থাকে।
কিশোরকে আজ সোমবার ভোরে আটক করা হয়েছে এবং পরে দুপুরে এ ব্যাপারে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে র্যাব কর্মকর্তা দাবি করেন, গত শুক্রবার বিকেলে চাঁদনী খেলাধুলা করতে বাসার পার্শ্ববর্তী মাঠে যায়। এ সময় আটক কিশোর ও তার এক সহযোগী চাঁদনীকে চোখে চোখে রাখে। খেলার সময় শিশুকে কৃষ্ণচূঁড়া গাছ থেকে ফুলও তুলে দেয় ওই কিশোর।
খেলা শেষে চাঁদনী বাসায় ফিরছিল। এ সময় বৃষ্টি হওয়ায় আশপাশে লোক সমাগম কমে যায়। এই সুযোগে আটক কিশোর ও তার সহযোগী চাঁদনীকে চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখায় এবং পাশের মধুমিতা রেল গেইট এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই ইটের স্তূপের আড়ালে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে দুই কিশোর।
একপর্যায়ে চাঁদনী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। শিশুটি বাসায় ফিরে সবকিছু বলে দিতে পারে- এই আশঙ্কায় আটক কিশোর ও তার সহযোগী শিশুটিকে শ্বাসরোধ ও দুপায়ে আঘাত করে হত্যা করে। এবং চাঁদনীর লাশ ময়লার স্তূপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আরেক কিশোরকে আটকের চেষ্টা চলছে।